শুধু মিসড কল দিয়ে কয়েক সেকেন্ড জয় করতে আসিনি
জ্বর এবং উষ্ণতা অক্ষত বিনুনি পর্যন্ত শোকাবহ-
তখনও শেষ অবধি চুমুগুলো চাঁদের সুষমা ছোঁয়নি।
বাস্তবিক ঘুম, ফ্যাকাশে জন্ম আর এক শিরীষ অগ্রাহ্য
ঠায় যা কখনো বদলাবে না। ছায়াটি কলঙ্ক সঙ্গে নিয়ে
অক্সিজেন ও তানপুরা একসঙ্গে বেজে যাবে।
তুমি ফাঁকা এক ফ্লাস্কে নিজের মতন অসুখ ভরে রাখো।
পর্দার পেছনে কতরকম আহত ছাপ রোদে পুড়ে জলে
একাকার অন্তত সারাদিন জীবন গোটাতে চিনি ও চর্বি ব্যতিব্যস্ত
কেননা আমরা কেউ পূর্ব বাংলা থেকে এই আত্রেয়ী ও সন্ধ্যাতারাকে
ধরবো বলে এখানে আসিনি। মনোযোগ ও অপরাধ সংগঠিত করেছি কেবল
এই মায়া প্রপঞ্চের চামড়ার নিচে সামান্য বিষাদ ও চাঁদের তেল
নাভির পাশে যে অনন্ত ঘুঘুর ডাক... সামান্য গোধূলি...
আঙুলের দশরকম রঙ... নিরিবিলি জঙ্গল পর্যন্ত এই শরীর এবং স্ত্রীসুখ!
আমরা দেখেছি বাইক উল্টে আছে লিচুর বাগানে।
ফুঁ দিয়ে তুলবো। টোকা দিয়ে পাখির আবহাওয়া।
আত্রেয়ী দিয়ে ভাবনার কলরব যেমন সুতানটির পেছনে
বাতাবীলেবুর মেঘ। বিশ্বাসের সামনে মৈথুনের নূপুর।
বজ্রবিদ্যুতের নিচে যখন সন্ধেই উপযুক্ত ব্রীড়া।
রাগী এবং গভীর এক পূর্ণিমা, আকারে আর আকৃতিতে
অনেকটা ঠান্ডা। গল্প শুনতে ভালোবাসে এমন
জয় করতে আসিনি মধুর গয়না। নিবিড় মার্চ মাস নিয়ে
ফিরে আসি ভোরবেলা। জিগ্যেস করি চাঁদের সঙ্গে কী সম্পর্ক তোমার?
সরু হয়ে গুটিয়ে নেয় যে ছায়ারা সারাদিন তেমন প্রোটিন
মথ এবং লালটিপ, কানের লতি থেকে দু'রতি কোমর অবধি
এমনিতে কিছু নেই, এই টলমল ওই চলেছে তাকানো।
তুলে ধরেছে ধুলোমাখা কিছু স্নান, কেবল উপায় নেই এমন
সকাল থেকে সুখ ও কামনার নির্দেশিকা থামতে চায় না।
কেবল ভাববাদী না হওয়ার চেয়ে বেশি এই কলোনির দুপুর।
স্বীকৃতি আর শব্দদের নিয়ে, পুথি ও পৃথিবী চলে যায়।
ব্যর্থ, খালি, ক্ষীণ দ্বন্দ্ব দাঁড়িয়ে দেখতে থাকে।
এখানে হারিয়ে যাওয়ার আগে কতদিন ঘাস থেকে সুখ
কুড়িয়ে এনেছে ভাষা। কতদিন ভোরবেলা ডিম ফেটে
তথাপি দুচোখের রঙ লুকিয়ে রাখে এই ভেবে
যেন আজ ইতস্তত মধুবালা।
ফুরিয়ে যাচ্ছি জানি তবু খুব দূরে নয় স্তব্ধতার পাশেই লংমার্চ।
0 comments:
Post a Comment