Monday, June 10, 2019
সম্পাদকীয়
এই সংখ্যা
থেকে ‘বাক্’ পেইড হয়ে গেল, অর্থাৎ এবার থেকে বিনিময় মূল্যে পড়তে হবে। গ্রাহকরা
পাবেন, এবং লেখক-কবি-শিল্পীরা। ব্যাটম্যানের শত্রু জোকার বলেছিল আপনি যদি কোনোকিছু
ভাল করেন, সেটা বিনামূল্যে দেওয়া কখনোই ঠিক নয়। আমরা ব্যাটম্যান ভাল, না কি জোকার
ভাল সেই তর্কে যাচ্ছি না। শুধু বলছি তার এই কথাটা ভাল। আমাদের মনে ধরেছে। ‘বাক্’
অনেকবার ভেঙেছে। অনেকবার আবার উঠে দাঁড়িয়েছে। কারণ সে চিরকালের চারাগাছ। মহীরুহ
হওয়ার চেষ্টা তার নেই। তবে বাংলা সাহিত্যে অনেক কিছুই করেছে, শত্রুর মুখে ছাই
দিয়ে। সে প্রথম এলিটিজমের ঘটি উল্টে দিয়ে বিনাপয়সার সাহিত্য চালু করেছিল, যেখানে
পত্রিকা করা যায় ফ্রিতে, পড়াও যায় ফ্রিতে। বাংলা কবিতায় যখন বিশেষ গোষ্ঠী, এবং
সম্পদশালীরাই অনলাইন সাহিত্যে রমরমা চালাচ্ছিলেন, সেই ২০০৯-এ ‘বাক্’ এসেছিল
তরুণদের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে। প্রথম ব্লগজিন। বাংলা সাহিত্যে ‘ব্লগজিন’ শব্দটাই
আমাদের কয়েনেজ, যদিও আজ যে অজস্র ব্লগজিন চলছে তাঁদের অনেকে সে ঋণ স্বীকার করেন
না, আমরাও তাঁদের কোনোপ্রকার ঋণে শিকার করতে চাই না। এটাও কি ঘটনা নয় যে প্রচারের
ঢাক বাজানোর যে কৌশল একদা ‘বাক্' শুরু করেছিল, আজ সেই পথেই অনেকে হাঁটছেন, একইভাবে
তাঁদের আগামী সংখ্যাকে বিজ্ঞাপিত করছেন, প্রকাশের পরেও একইভাবে ফেসবুকে এবং ই-মেলে
পরিবেষণ করছেন, কিন্তু ‘বাক্' তখন নিন্দিত হয়েছিল? বাঙালি ইতিহাস জানে না। জানতে
চায় না। সেটা দূরের হোক, বা কাছের। যাই হোক, আমাদের সংখ্যাগুলো পড়তে হলে গ্রাহক
হওয়ার কথা ভাবতে পারেন। সম্পাদকমণ্ডলির সঙ্গে আজই যোগাযোগ করুন।