Tuesday, May 21, 2019
মৎসপুরাণ
প্রাচীন পানাপুকুরে চকিত ডুবে গেল গৌর-দেহ।
এসো রোহিত মাছ,গ্রহণ করো পুরোহিত বালকের চালতা ফুলের মতো নাভি।
নরম পৈতে জড়ানো কান অার মূত্রদ্বার গিলে নাও।
সমস্ত আঁশ অথবা কাঁটায় পেকে ওঠো তুমি।
ওরই শ্রাদ্ধভোজে পরিবেশন হোক লুচি।বেগুনভাজার পাশে তোমার ঝাল ঝাল
ন্যাজ,মুড়ো,ধড়।
*
ষষ্ঠীতলার পরেই মীরকাশিমপুর,চাষ হয়েছে বিঘের পর বিঘে মোতিহারি তামাকের
পাতা,বাতাসে অন্ধকার-গন্ধ তারই,পাড়াতুতো দিদির কনেযাত্রীর বাস এইখানে এসে থামল আর
তোমাকে জানলা থেকে দেখলাম।
চায়ের দোকানে শ্যাওলাধরা প্লাস্টিকের জগ নিয়ে ঢকঢক জল ঢালছ গলায়।
কন্ঠ বেয়ে ঢলানী-তরলের নেমে যাওয়া দেখে বিজুরি চমকাল গায়ে।
এইবার সিগারেট ধরালে,চুম্বনের ভঙ্গিতে দড়িতে বাঁধা আগুনের দিকে নিয়ে এল
গোল কালচে ঠোঁট।
তারপর সাইকেল গ্যারেজ থেকে সাইকেল নিয়ে চলে যাচ্ছ দূরে কোথাও দূরে দূরে।
লোকমুখে শুনেছি ওই দিকে জগদানন্দপুরের মাধব মন্দির, দেশি শুঁড়িখানা, নৈশ
বিদ্যালয়।
বাসের রাতজাগা হলুদ আলো,মিষ্টির প্যাকেট টিফিন,আর ঢের রজনীগন্ধার সৌরভের
ভিতর বসে বুঝলাম তুমি টিউশন পড়াও,বাবা নেই,বাড়ি ফিরে আল মাহমুদ পড়বে।
ছিনতাই হতে পারে তাই আলো নিভিয়ে বাস চলতে শুরু করল।অথচ আমার হয়ে গেছে
সবটুকু ডাকাতি।
ড্রাইভারের পাশে সাঁইবাবা,লাজুক একটি তুলসী গাছ।
যেতে যেতবিবাহের দেবতার কাছে প্রার্থনা করতে লাগলাম উহার সহিত অামার বিয়ে
না হলেও দেখাশুনা হউক।
আর এমনি সময়ে হলুদ শাড়ি বলে অজস্র মেরিপোকা রাধার মতো ঝাঁপ দিতে লাগল আমার কালিন্দী-চোখে
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment