Saturday, June 8, 2019
এলিয়েন ও মিউট্যান্টরা ২
১
চকোলেট আস্তরণে অস্থায়ী
বুটিঘাম। ঘড়ির জিভ
গলনাঙ্ক পর্যন্ত যায়
২.
এক
মিউজিক মিউজিয়াম। সুরের ফাঁপা হাড়
তুলো
ঠাসা; মখমলে সাজানো লয়।
সোনার
জল করা আলোয়
কানপাতায়
হাত রাখছ।
দেখছ,
রাশিকৃত এঁটো শালপাতা।
৩
অন্ধকার,
কড়িবরগা। আমার বুকে পাথর ডুবে যাওয়া স্বপ্ন- বারবেলার কিছু আগের মাধুকর, তার
ধামাভরা চাল- আনাজ, প্রখর রোদে শুকিয়ে ওঠা দেওয়ালের নোনা ঝুঝঝুরে সময়ের ঘুণধরা
তিনকা থেকে খসে যায়।
একশো
মানুষের মাঝে হা হা করা শূন্যতা, যেন সেই বৃদ্ধার ঘোলা চোখ; লিচুর শাঁসের মত সাদা
ছানি। তার কলাই করা বাটি থেকে লাল দানাদার তুলে খেয়েছিলাম আমি।
সব
খবরের শিরোনামে থেমে যাই। খিদের গা থেকে গোবিন্দভোগ চালের গন্ধ। কারা যেন কালো তিল
ছড়িয়ে গেছে স্নানঘরের চৌকাঠ বরাবর। ওপারে তারা বসে। সমুখে কলাপাতার ময়নাতদন্ত
শরীর।
আমার
স্বপ্নে ফিরে আসে শৈশবের লোলচর্ম বৃদ্ধ মাধুকর। ক্ষীণ কন্ঠে থেমে থেমে ডাকে,
" জয় মা... জয় মা... "
পুরোনো
একটাকা নিয়ে ছুটে যাই।
৪
অন্ধকার
থেকে ফালকাটা আলোয়
উজ্জ্বল
খয়েরী দানা,
কাটা
মাথা শুয়োরের মত বুজে থেকো না।
বুঝি।
বুঝিয়ে দিতে দিতে নিই
সমুজ্জ্বল
ক্রোধ, আমায় অন্ধত্ব দেয় ।
দেয়
জিরাফের নিষ্ফল চুপ!
৫
টিউবগলা
বারান্দায় হিমজমাট উত্তাপ। উপশহর থেকে স্তব্ধতা তুলে, ক্রিস্টাল তরলে রমণ এফেক্ট।
উৎস
থেকে গন্তব্য - হীন।
পর্ণমোচী
স্বভাব নিয়ে কিছু গাছ
বৃষ্টিঅরণ্যে
আশ্রিত।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment